কিন্তু এই জাপানি মাগুর মাছ এত সহজে মরে না কারন এদের সাধারণ মাগুর মাছের চাইতে অনেক বেশি নোংরা আবর্জনা শোষণ করার ক্ষমতা থাকে তাইতো এর নাম জাপানি মাগুর।
তো আপনি খাবারের মধ্যে আরও বিভিন্ন কিছু ব্যবহার করতে পারেন যেমন মনে করুন সরিষা থেকে তেল বের করার সময় তেলের পর যে উপাদান গুলি পড়ে থাকে যেগুলোকে আমরা খোল বলি বাঙালি ভাষায় বা যেগুলোকে আমরা গরু বা ছাগলকে খাওয়াই সেগুলি কেউ কিন্তু জলে ভিজিয়ে আপনারা মাগুর মাছকে খাওয়াতে পারেন। এতে আপনার অনেক খরচ বেঁচে যায় এবং আপনার এই খোল ব্যবহারে মাছ কিন্তু খুব বেশি তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে।
- খাবার দেওয়ার সময়
আপনি চাইলে খাবার তিন বেলা দিতে পারেন বা দুবেলা দিতে পারেন যেমন :-
- সকালবেলা ও বৈকাল বেলা।
এবং তিন বেলা যদি আপনি খাবার দিতে পারেন তাহলে আরও বেশি ভালো হয় যেমন:-
- সকাল বেলা দুপুর বেলা বিকাল বেলা।
আপনি মাছকে যত বেশি খাওয়াবেন মাছ কিন্তু তত তাড়াতাড়ি বেড়ে উঠবে এবং আপনার মাছের ওজনও বাড়বে।
এবং মাছ চাষের সময় অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হবে যেমন যদি বৃষ্টি হয় তাহলে কিন্তু পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির অত্যাচার থাকে তো পাখির অত্যাচার থেকে কিন্তু আপনার মাছকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। আপনি পাখির অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য পুকুরের উপরে জাল টাইপের কিছু ব্যবহার করতে পারেন যেগুলো খুব সহজে হার্টে বা বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আপনি এই লেকচার ব্যবহার করতে পারেন এতে আপনার পুকুরে কোন টাইপের পাখি অত্যাচার আপনি দেখতে পারবেন না কারণ পাখি একদিন আপনি পাখি যদি দেখেন তাহলে এই দেখবেন যে পাখি কয়টা করে মাছ খায়। তো রোজ রোজ কিন্তু ওই পাখিগুলো আসতে থাকবে আর দিনে একটা পাখি না অনেক অনেক পাখি আসে তো আপনার কুকুরের অর্ধেক বাঁচি পাখিরাই খেয়ে নিতে পারে তাই পাখিদের থেকে অনেক সাবধান থাকবেন।
- মাছের সাইজ কত কেজি হওয়ার পর মাছ বিক্রি করার বা খাবার উপযোগ হয়ে উঠবে?
মাছ সম্ভবত এক কেজি ওজনের উপর হলেই সেটি খাওয়ার বা বিক্রি করার উপযোগী হয়ে ওঠে কিন্তু এ মাগুর মাছের ক্ষেত্রে আপনার মাছকে হাফ কেজির (৫০০) গ্রামের উপর হতে হবে।
- মাছ চাষের সময় পুকুরে কি চুন মেশানো যাবে কিনা?
হহ্যাঁ অবশ্যই পুকুরে চুন ব্যবহার করা যাবে, এর সঙ্গে সঙ্গে আপনি জীবাণু মুক্ত অনেক রকম কীটনাশক পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু মনে রাখবেন কীটনাশক গুলি যেন মাছেদের পুকুরে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় এই জাতীয় টিকিট কিনবেন নয়তো যদি আপনি চাষের জমিতে ব্যবহার করা কীটনাশক ব্যবহার করেন তাহলে আপনার মাছ কিন্তু পুকুরে একটাও থাকবে না সব মাছ মরে যাওয়া সম্ভাবনা থাকতে পারে তাই একমাত্র মাছেরই কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে।
- মাছ খাবারের উপযুক্ত হয়ে গেলে বা বিক্রি করার উপযুক্ত হয়ে গেলে কিভাবে পুকুর থেকে তুলবেন?
পুকুর থেকে মাছ তোলার জন্য সম্ভবত মানুষ গ্যাস ব্যবহার করে বা বিভিন্ন প্রজাতির কীটনাশক ব্যবহার করে কিন্তু এটি যেহেতু জাপানের নাগো তাই এতে কোন টাইপের গ্যাস বা কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না এটি কে জালের মধ্যে তুলতে হবে বা আপনি এটাকে তোলার জন্য জেলেও ব্যবহার করতে পারেন কারণ এটি মরে যাওয়ার ১২ঘন্টার মধ্যে এই মাছটি শুকিয়ে যায়। যদি শুকিয়ে যায় তাহলে কিন্তু আপনি এই মাছের কোন ওজন পাবেন না বা কোনো ভালো দামও পাবেন না তাই এই মাছটি তোলার জন্য জাল ব্যবহার করুন।
এবং একটি ভালো বিষয় আপনাদেরকে বলে দিই:-
এই জাপানি মাগুর মাছের মধ্যে আপনি ওই পুকুরে আরো অন্যান্য মাছ চাষ করতে পারেন একসঙ্গে সেই মাছগুলি হল দেশি মাগুর, কৈ মাছ, শিঙী মাছ, ও তেলাপিয়া মাছ একসঙ্গে চাষ করতে পারেন কারণ এগুলি হল নোংরা জাতীয় পানি মাছ তো এরা একসঙ্গেই থাকতে পারে।
এইভাবে আপনি মাছ চাষ করে ফেলতে পারেন খুবই সহজে বাড়িতে বসে থেকে ধন্যবাদ।