কিসমিস তৈরি করার সহজ ও নতুন পদ্ধতি

কিসমিস তৈরি করার সহজ ও নতুন পদ্ধতি

কিসমিস তৈরি করার সহজ ও নতুন পদ্ধতি

কিসমিসের সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত । সাধারণত কোনো খাদ্য সুস্বাদু করতে কিসমিস ব্যবহার হয় । তবে এর আরও হাজারের বেশি উপকার রয়েছে । 

যৌন স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে রক্ত বৃদ্ধিতে কিসমিসের ভুমিকা অসাধারণ । তাই আজকে আমরা জানবো কিসমিস কিভাবে তৈরি হয় এবং ঘরে বসে কিসমিস তৈরির উপায় সম্পর্কে । শারীরিক বিভিন্ন বিষয়ে সরাসরি ভুমিকা রাখে শুকনা কিসমিস । কিন্তু আমাদের মধ্যে কেন যেন মনে হয় শুধু কিসমিস খাওয়া সাস্থের পক্ষে ক্ষতিকর । 

বাজারে কিনতে পাওয়া কিসমিস স্বাস্থ্যকর কি না তা আমরা ভালোভাবেই জানি । তেমনই আবার সামান্য কয়েকটি কিসমিসের দাম নেওয়া হয় এত বেশি যা অনেকের কাছে নিয়মিত খাওয়া অসম্ভব । 

আজকের পোষ্টে আমরা জানবো, কিসমিস কি, কিসমিস তৈরি করতে কি কি লাগে/ উপকরন, কিসমিস কিভাবে তৈরি হয় এবং কিসমিস এর সকল উপকারি এবং অপকারি দিক সম্পর্কে । 

আরও জানবো সেক্স লাইফে কিসমিস কি ভুমিকা রাখে । জানবো কিসমিসে কি পরিমাণ শক্তি এবং ভিটামিন পাওয়া যায় এই সব বিষয়ে বিস্তারিত । 

কিসমিস কি । What are raisins? আমাদে সকলের কাছে অতি পরিচিত একটি ফল আঙুর । আর এই আঙুর ফলের শুকনা রুপ হচ্ছে কিসমিস ফল । 

আঙুর ফলকে কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে কিসমিসে রুপ দেওয়া হয় । এজন্য মূলত হচ্ছে কিসমিসকে শুকনা ফলের রাজা বলা হয় । নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কিসমিস কি । 

এখন মাথায় কি চিন্তা হচ্ছে আপনার? যে তাহলে কিসমিস তৈরি করতে আঙুর ফল কিনে শুকিয়ে নিলেই হয়ে যাবে? তাহলে বলবো, আপনার ধারণা ৪০- ৪৫ সঠিক । তবে আঙুর ফলকে সরাসরি শুকালেই কিসমিস তৈরি হবে না । এজন পনাকে ঘরে বসে কিসমিস তৈরির সম্পূর্ণ নিয়ম জানতে হবে । কিসমিস তৈরির উপকরণ । 

কিসমিস তৈরি করতে কি কি লাগে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, আজকের সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লেই আপনিও ঘরে বসে কিসমিস বানাতে পারবেন এবং তার সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন । জি ঘরে বসে খুব সহজেই তৈরি করা যায় স্বাস্থ্যসম্মত কিসমিস । 

ঘরে বসে স্বাস্থ্য সম্মত কিসমিস তৈরি করতে যযেসব জিনিস দরকার তা হচ্ছেঃ 

১) পরিমাণ মতো লম্বা ধরনের আঙুর ফল । 

২) বিশুদ্ধ পানি । 

৩) পানি ঝাড়ানোর চালি । 

৪) সুতির পরিষ্কার কাপর । 

৫) রান্না ঘর/ কিচেন । এতক্ষণে আমাদের জানা হয়ে গেল কিসমিস তৈরির পদ্ধতি অনুযায়ী কিসমিস তৈরিতে কি কি লাগবে । 

এই জিনিসগুলো আপনার কাছে থাকলে কিসমিস তৈরি করা শুরু করে দিতে পারেন এখনই । এবার জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসে কিসমিস তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম । কিসমিস কিভাবে তৈরি হয় । 

How are raisins made? কিসমিস তৈরি করার জন্য যা যা করার দরকার তা নিচে সিরিয়াল অনুযায়ী উল্লেখ করছি । যাতে আপনার বুঝতে এবং সিরিয়াল অনুযায়ী কাজ করতে সুবিধা হয় । 

চলুন দেখে নেওয়া যাক ঘরে বসেকিসমিস কিভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কেঃ 

১) পরিষ্কার পাত্রে বিশুদ্ধ পানি চুলায় দিয়ে ফুটানো শুরু করুন । 

২) পানি যখন ফুটতে শুরু করবে তখন আঙুর ফলগুলি ফুটন্ত পানির মধ্যে দিয়ে দিন । 

৩) পানি একটু বেশি পরিমাণে দিবেন যাতে আঙুর ফলগুলো ফুটন্ত পানির মধ্যে ঘুরতে পারে । 

৪) এবার পানি ফুটাতে থাকেন । আর আঙুর ফলগুলো সিদ্ধ করতে থাকুন । 

৫) কিছু সময়ের মধ্যে আঙ্গুরগুলো ফুটন্ত পানির উপরে উঠে আসবে এবং আঙুর ফলের একপাশ ফেটে যাবে ।( তখন বুঝতে হবে আঙুর ফল সিদ্ধ হয়ে গেছে) । 

৬) চুলা থেকে নামিয়ে পানি ঝেরে ফেলটে হবে । 

৭) একটি ঝাঁঝরির উপরে পরিষ্কার সুতির কাপর বিছিয়ে সিদ্ধ আঙুর ফলগুলো রোদে দিন । 

৮) ২- ৩ দিন খুব ভালো রোদে রাখুন । এবং আঙুর ফলগুলো পাতলা করে রাখুন । যাতে তারাতারি শুকিয়ে যায় । 

৯) ২ – ৩ দিন শুকানো শেষে সম্পন্ন হয়ে গেল আপনার কিসমিস তৈরি । 

এখানে বলে রাখা ভালো যে, অনেক দিন রোদে শুকানো যাবে না । রোদ খুব ভালো হলে ২ দিন শুকাতে হবে । আর রোদের তাপমাত্রা তুলনামূলক কম হলে সর্বাধিক ৩ দিন শুকাতে পারেন । 

আর একটু বেশি ভেজা ভেজা লাগলে কিছুক্ষন ফ্যানের নিচে দিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন ।) শরীরে প্রচুর শক্তি যোগায় এবং যৌন শক্তিতে চাঙ্গা করে তোলে । 

১১) পরিমাণ মতো কিসমিস স্বাস্থ্য রাখে ফিট । কিসমিস খাওয়ার অপকারিতা । কিভাবে কিসমিস খাবেন না কোনোকিছুই প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত কিছু ভালো না । তেমনই খুব বেশি পরিমাণ কিসমিস খআওয়া ঠিক নেই । যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা ভুলেও অতিরিক্ত কিসমিস খাবেন না । 

কিসমিস খেলে ওজন বাড়ে । সুতরাং বুঝে শুনে পরিমাণ মতো কিসমিস খাবেন । এছাড়া কিসমিসে খুব বড় ধরনের কোনো ক্ষতি বা অপকারিতা নেই ।

*

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post